ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জঙ্গিদের প্রতিশোধ?

চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বরাবর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার। এর জন্য প্রশংসাও পেয়েছেন তিনি, পেয়েছেন পদোন্নতি, সর্বোচ্চ পুলিশ পদক। জঙ্গিদের ধরতে একের পর এক সফল অভিযানের পর নিজের ও পরিবারের জীবন নিয়ে হুমকিও এসেছে বারবার। কিন্তু পরোয়া করেননি বাবুল। চালিয়ে গেছেন কাজ।

এই হুমকির কথা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন বাবুল। আর স্ত্রী মাহমুদা খাতুন ওরফে ‍মিতু আক্তারকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা একে পরিকল্পিত খুনই বলছেন। তাদের ধারণা, মিতুকে খুন করতেই ইচ্ছে করে ঝগড়া করেছিল খুনিরা। এর পেছনে আসলে বাবুলের প্রতি আক্রোশই ছিল কারণ।

চট্টগ্রামের পুলিশ কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান থেকে সরে দাঁড়াতে দেয়া হুমকি ও এই খুনের মধ্যে সম্পর্ক আছে। বাবুলের সাহসী ভূমিকার জন্য জঙ্গিরা প্রতিশোধ হিসেবে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন তারা।

বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে জেএমবির সামরিক প্রধান জাবেদসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একটি অভিযানে এক সন্দেহভাজর জঙ্গির মৃত্যুর পর তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

চট্টগ্রাম মহানগরের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জানান, এই বিষয়টিকেই সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। তিনি বলেন, ‘বাবুল আক্তার জঙ্গি দমনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছিলেন। এতে সংশ্লিষ্টরা সংক্ষুব্ধ হতে পারেন। এর জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছি আমরা। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনি, কারণ ইত্যাদি বেরিয়ে আসবে।’

সকাল সাতটার দিকে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় নগরীর জিইসি মোড়ে মাহমুদা আক্তারকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় অল্পের জন্য বেঁচে যান বাবুলের ছোট ছেলে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মোক্তার আহমদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্তকাজ শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিরাই জড়িত। কারণ বাবুল আক্তার জঙ্গি দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন।’

 

পাঠকের মতামত: